অগ্রজ কবিরা
উপমায় উপমায়
ছুঁয়েছিলো নীলিমা
খুঁজেছিলো বায়ু
চুপসানো বেলুন
ফুলে ফুলে
জেনেছিলো হয়তো বা
স্বভাবের সীমা।
একালের কবি তাই
লোকায়ত শব্দে গড়েন
লোকাতীত বাক্যসকল
নিখিলের এপারে
মানুষের হৃদয়
হরিণের শরীর নিয়া
ছোটে নাকো
বাঘের সম্মুখে।
নেহায়েৎ বাঘের খাদ্য
এই হরিণ শরীর
আর কোন অর্থ নাই;
হরিণের রক্ত
প্রাকৃতিক অনুপাতে
সরল রাসায়নিক
সামাজিক ভূতলোকে।
মানুষের হৃদয় বড়োজোর
মন হয়ে শোয় অথবা বসা
বাক্যের গলুইয়ে।
পাখিদের পাখি ডাকা
অনন্য কবি এক
চরাচরে; তবু
খিদা জাগে হৃদয়ে
কৈ হতে কৈতর উড়ে যায়।
পানির নিচে নীলিমা দ্যাখে এক
ঢিল ছুঁড়ে
আকাশ কাঁপাবার সুখ পেয়ে যায়;
তারপর
পাখিদের রূপ লয়ে
ওড়েন কবি
ড্রয়িং খাতায়
আকাশে আকাশে
এক ও একা
তবু পারিবারিক।
–১৮-১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১