বিবাহিত বান্ধবী গল্প করে–
কী করে কী হয়
কিভাবে কিভাবে কী করে; বা
করবার কথা যদি ভাবে
করা হইয়া যায় কখোন!
হায়, বাকি থেকে গেলো ভাবা; বলে–
হায়, ভাবার সুখ কি পাবো না এ জনমে!
আমি শুনি
অবাক চোখ দেখাই, বলি—
লজ্জা লজ্জা মুখে বলি, যাহ্।
এই বিধেয় এই দেশে, শোনো আমার প্রেমিক।
তোমার স্মৃতি আসে মনে
তোমার স্মৃতিই তাজা বলে হয়তো,
নাকি তোমারেই ভালবাসি বলে, জানি না ঠিক।
বান্ধবীর কাছে লুকাই, লুকানো কি সহজ খুব?
তোমার কাছেই লুকাইতে পারছি কি কোনদিন?
শরীরে যখন আসো
তার থেকে মনে আসা কি কম শারীরিক!
বান্ধবীরো মনে আসে বুঝি তার স্বামী
চাইয়া থাকে স্বামীর নড়াচড়ায়—
এই স্বামীর স্বার্থপরতা নাই কোন,
এই স্বামী মনে গড়া।
আমার প্রকাশ দ্যাখে না বুঝি তাই;
ভাবো প্রেমিক—
মনে যদি আসো একবার,
তখন তোমার সঙ্গে যা করতে থাকি আমি,
তার চাইতে তা লুকাবার চেষ্টার দৃশ্য কতো কুৎসিত!
তারপরো লুকাইতে হয়।
ভাবো প্রেমিক—
তোমারে লুকাইতে হয় আমার, আরো বেশি
লুকাইতে হয় আমারেই! কেননা, এই বিধেয়।
বিবাহিত বান্ধবী বলে, আমি শুনি, আর লুকাই—
তোমারে, আমারে, আমাদের করাকরিরে…
অথচ, কত কি শেখার বাকি আমার বান্ধবীর!
তোমারে, আর বান্ধবীরে শিখাইবার ইচ্ছা মনে নিয়া
মুখের সামনে না বোঝা মুখ ঝুলাইয়া শুনে যাই,
চোখের সামনে ঝুলাইয়া রাখি না দেখা চোখ…
হায় গোপনতা—
চলো প্রেমিক, বিয়া করি;
বলবার মুক্ততা পাই তবে,
বান্ধবীরে বলি
তারো শেখার বাকি আছে কিছু…
–২১ ডিসেম্বর ২০১১