যেইসব শব্দ খাড়াইয়া ছিলো–
স্বস্তির অভাবে,
তাদের ধরে বসাইয়া দিতে ইচ্ছা হলো;
কেননা, আমার ভিতর আপনার সভা এখন–
সেইখানে সে আছে, আমি দেখছি…
আর সেইদিন–
বেগুন তলায় সভা ছিলো আপনার,
কতো লোক যে আইছিলো—
বেগুন গাছের বড় বড় পাতা,
ছায়া পড়ে আছে মাটিতে,
থ্রিলিং বেখেয়ালে খালি পাতলা শাড়ি পরে আসা
কিছু মেয়ে শাড়ির নিচে পরে নিলো
বেগুন শাখার ছায়া;
এই মেয়েদলে সে-ও ছিলো—
এরেই কি মেয়ে হয়ে থাকা বলে…
তাঁর হয়তো তাড়া ছিলো না কোন,
অথবা থ্রিল কিছু কম—কে জানে;
থ্রি-পিছ পরা,
জানেন তো, শাড়ি বা লুঙ্গির সাথে পাজামার ফারাক—
পাজামা নামে, শাড়ি আর লুঙ্গির ওঠাই কমন;
তাঁর হয়তো নামাই ভালো লাগে বেশি…
কী যানি।
কিন্তু এগুলি গৌণ কারণ;
একই ধরনের পায়জামা পরা তাঁর ভাই ছিলো—
তারে আমার ভালো লাগলো না;
তাঁর মা-ও ছিলো একই পায়জামা পরা—
তারেও আমার ভালো লাগলো না।
আমার ভালো লাগলো তাঁরেই;
অতএব শাড়ির অভাব নয়, বা
বেগুনের ছায়া খয়রাত না করাও না,
এমনকি আপনার সভাসদ হিসাবেও নাহ্
তাঁরে আমার ভালো লাগলো—
কতক আমারই গুণে, বেশিটাই তাঁর…
কিন্তু এই ভালো লাগা
আপনার সভার গিফ্ট;
কিন্তু এখন যেইখানে আছি,
বেগুন তলা থেকে এই তোমাইত—
একদূর নয়, অনেক দূর…
তাঁর পিছে পিছে এই আসা;
সে যদি যায়, যদি বেগুনতলা আবার
আমিও যাবো
আপনার সভায়,
তাঁর পিছে পিছে সভাসদ এক।।
১৯.৩.২০১২
//