আমারে নিয়ে যায় সে
প্রায়ই, সেইসবখানে
তার এক সে
আছে, আসে।
তাহাদের প্রেম হয়
এই হওয়া
আরো আরো অতীত হওয়ার পরে হওয়া
আবার, এই প্রেম নিত্য—
আমরা চা খাই
হাসি, একসাথে—
চা শেষ হতে চায়, হয়
কাপ দিয়ে দেয় সে
আবার নেয়,–
আর
কাপ হাতে তার
প্রায় সুন্দর সেই কাপ
ফেরত দেবে নাকি দেবে না
ভাবে, আবার ভাবে—
ভাবা শেষ হয় বলে
কুঁচকে ওঠে ভ্রু
একটা বা দুইটাই—তার প্রেমিক
বুঝে ফ্যালে
এই ভ্রু আছে, ছিলোও কি?
যদি থাকেও,
বহুবার বঙ্কিমও যদি হয়,
এখন কেন হবে!
সে কি নাই?
তবু?
এই বঙ্কিমতা নিবিড়
এই বঙ্কিমতা আছে বলে
সে কি আছে আর!
তবু বঙ্কিম?
ভাবা?—
চায়ের কাপ নিয়ে নেয় সে
দোকানে দিয়া দেয়—
আঙুলে আঙুল লাগে
কেন লাগে!
আঙুল তো নেবে না সে
কাপ নেবে—
নাকি আঙুল নিতে চায়!
হাত থেকে আঙুল
নিতে চাইবার চাইতে
কাপ নিতে চাওয়া কি খারাপ!
অতি আশ্চর্য
অভিমান কি হয় না?
অন্যায্য, রাগ?
হাতের দৈর্ঘ্যের সমান
দূর থেকে ঘুষি,
পায়ের পাতা চুলকে দেওয়া…
এইসব ঠিক হলো,
ভব্য দূর কি ছিলো?
দুইজন বাদী আর বিবাদী
আমার কাছে ফরিয়াদ করে—
আমি রায় দেই—অপরাধ দুই তরফে,
শাস্তি দুইজনের প্রাপ্তি—
‘দুইবার টিপে দিতে হবে গাল
আর পাশাপাশি থাকা দুটি পা
হাত দিয়া একটাকে তুলে
দিতে হবে আর একটার উপর।’
কিছু দমে যায় বুঝি তারা
বিচার লঘু হলো বলে?
গুরু হলো বলে?
দু’জনেই ভোগ করে দণ্ড,
চা, সিগারেট;
শেষ দুটি আমিও।
তারপর চলে যায় সে
আমরাও ফিরি।
আজ তবে প্রেম ভালো হলো,
বলে সে, কী বলো?
আমি কিছু বলি
বা বলি না।
আমরা হাঁটি।
হাঁটা সোজা নয়—
অন্তত ভেবে ভেবে হাঁটা।
এইমাত্র যে চলে গেলো
আমি তারে ভাবি।
আমার উপর চাইছিলো সে
আরো আরো চাইবার মাঝে
বিশিষ্ট একবার।
তার চোখে ছিলো স্কুটিনি
ক্রমে নিশ্চিতি, খবর—
আমার কামধর্ম।
অতঃপর আমারে বাতিল করে দিলো সে,
বিতৃষ্ণা নয়;
যে তারে চায়
তারে চায় সে।
সিম্পল।
জটিল হতে পারে নাই।
তার চাওয়া ছিলো,
সে-ও।
আমার চোখের পাতা কাঁপে নাই একবার।
এই অপলক ডিনায়্যাল
সে কি দ্যাখে নাই?
তবু আমারেও চায় সে,
থ্রিল নাই কোন,
বন্ধুত্ব—মই দেওয়া, তবু চায়—
কেন দুজনেই!
তাহাদের যাওয়া হয়ে যায় যদি
দূরে,
নিজের থেকে নিজে নিজে
যাবে, কোথায়…
আশংকায়?
আমি থাকি বলে বুঝি
প্রেম থাকে গণনাযোগ্য,
গণনার দরকার মনে থাকে।
ইচ্ছার পাশে কুকুর
বসে থাকি।
আমার ভাবা শেষ হয় নাই
ফলে রাস্তাও।
প্রেমের মতো কিছু একটা
আমিও করবো।
সেইখানে ফিরে আসা নাই,
কেননা যাওয়া ছিলো না,–
থাকা কেবল,
না থাকার কথাও ভাবা যাবে।
ক্ষোভ নাই, বিদ্বেষ নাই,–
এইসব সামাজিক।
মুক্ততা আছে,
লিপ্সা কি থেকে যাবে কিছু?
শরীর?
ভাববো।
অত সহি প্রেম—পার্থিব কি?
লজ্জা পেতে চাইবো আমরা,
তারপর পাবো,
কিছুটা ভ্রষ্ট হতে চাইবো, ফলে
আস্থা খুঁজতে থাকবো আমরা
আমার মাঝে সে
তার ভিত্রে আমি।
বিশ্বাসের কসম দিয়া
সাধারণ হয়ে যাবো।
আমি অভিযোগ করবো
সে অস্বীকার—
তারগুলি আমি
শুনবোই না।
আমাদের বনিবনা হবে না,
তার ঘ্রাণে আমি বমি করে দিবো।
তবু থাকা হবে
আমাকে ছাড়বার ঠিক আগে
আমি চলে যাবো, বা
আমি তারে ছাড়তে গিয়া বুঝি দেখি
সে নাই!
তার এই না থাকা
তার সম্ভাব্য বেঁচে থেকে যাওয়া।
এইসব ঘুঘলামী বা অসততার ভান
আমাদের বেঁচে থাকা।
রচনাকাল: ২৬-২৮ আগস্ট, ২০১১