২৬ মার্চ ২০১৫, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিনের ‘গুগল ডুডল’-এর কারণে বাংলাদেশের বহু নাগরিককে গ্রেটফুল বানাইছে; অনেকেই প্রোফাইল বা কভার ফটো বানাইছেন এই ডুডল দিয়া।
গ্রামীণফোন যেনবা টেলিনর নয়, বা রবি যে এক্সিয়াটা সেইটা প্রায়ই টের পাই না আমরা; বিপরীতে google.com.bd যেন google.com-ই! গুগলের শাখা আছে সব দেশেই প্রায়; মজার ব্যাপার হইলো গুগোলের ইউএসএ শাখা নাই! ভাবে বুইঝা নিতে হয় যে মূল গুগল-ই আসলে গুগল ইউএসএ। যেমন ধরেন, .gov হইলো আসল গভর্নমেন্ট, .gov.bd হইলো তার বাংলাদেশ শাখা। ছবিতে ২৬ মার্চের ভারত আর পাকিস্তানের গুগল দ্যাখেন, বাংলাদেশ থেকে মূল গুগল সাইটে ঢোকা কঠিন, প্রক্সি সার্ভার দিয়া পাওয়া মূল গুগলের ছবি দ্যাখেন।
বাংলাদেশে যারা ব্যবসা করে তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় দিনে কিছু না কিছু আয়োজন করবে, তাই হবার কথা; যেমন করলো গুগল বাংলাদেশ। অন্যান্য কোম্পানির আয়োজন ভালো না লাগলেও গুগল বাংলাদেশের ডুডল আপনার ভালো লাগতে পারে; বাট সেই ভালোলাগা বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিনে মূল গুগলের ডুডল ভাইবা বেশি বেশি হইতাছে না তো?
ইন্টারনেটের একটা গুণ হইলো রি-ডিরেকশন; আপনে google.com লেইখা ব্রাউজারে এন্টার চাপবেন, গুগল আপনারে google.com.bd-তে পাঠাইয়া দেবে, টের পাইবেন না আপনে; আপনের তখন মনে হইতে পারে এই ডুডল তো মূল গুগলেরই!
ওয়েব মূল্যবোধে রি-ডিরেকশন একটা ব্যাড প্রাকটিস; গুগলও সেইটা জানে, বাট সেও তাই করে থাকে; গুগলের একটা সার্ভিস আছে ‘পেজ স্পিড’ মাপার; ওয়েব ডেভলপাররা এইটা ইউজ করে। সেইখানে google.com লেইখা এন্টার চাপলে আপনে দেখবেন আপনারে রি-ডিরেক্ট কইরা google.com.bd-এর পেজ স্পিড দেখাইতাছে। আপনের আইপি দেইখা আপনারে বাংলাদেশি অনুমান কইরা এইটা করলো গুগল। মজা হইলো, নিজেই নিজের ভুল ধইরা গুগল কইতাছে,
“Consider Fixing: